Table of Contents
Toggleএকটা সম্পর্ক, একলা রাত, আর একটা গোপন যুদ্ধ!
—
প্রথম পর্ব: গভীর রাতের অশান্তি
রাত ২টা ১৭ মিনিট।
রায়হান ছাদের ফ্যানের শব্দ শুনছে। না, আসলে শুনছে না, অনুভব করছে। কারণ আজও তার চোখে ঘুম নেই।
কিন্তু পাশে তাকিয়ে দেখে, নীলা কত নির্ভার ঘুমিয়ে আছে! মুখটা আগের মতোই সুন্দর, তবে সেই পুরনো উচ্ছ্বলতা?
সেটা কি এখনো আছে?
না, নেই।
নীলার মুখের হাসিটা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, ঠিক যেমন তার নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে।
এতদিন ধরে সে নিজেকে বোঝাচ্ছিল—”কাজের চাপ, সংসারের দায়িত্ব, এটাই স্বাভাবিক…”
কিন্তু মনের একটা কোণ থেকে কেউ চিৎকার করে বলছে,
“মিথ্যে বলছিস রায়হান, তোর আসল সমস্যাটা তুই নিজেও জানিস!”
দ্বিতীয় পর্ব: সম্পর্কের অদৃশ্য দেয়াল
—
পরের রাতে নীলা সরাসরি জিজ্ঞেস করল,
> “রায়হান, আমরা কি ঠিক আছি?”
রায়হান চমকে গেল!
> “মানে?”
নীলা একদম সোজাসাপ্টা বলল,
> “তুমি বদলে গেছো। আগে যেমন ছিলে, এখন আর তেমন নেই। শুধু কাজ আর চিন্তা, কিন্তু আমাদের সময় কোথায়?”
রায়হান এক মুহূর্তের জন্য বোবা হয়ে গেল।
সে তো জানে, নীলা যা বলছে তা সত্যি। কিন্তু এটা বলতে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল যে নীলা ব্যাপারটা ধরে ফেলেছে!
সে কি আসলেই বদলে গেছে? নাকি কোনো কিছু তার জীবন থেকে আস্তে আস্তে চুরি হয়ে গেছে?
—
তৃতীয় পর্ব: বিপজ্জনক সমাধান
—
সেই রাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসে সে কথাটা তুলল।
বন্ধু সোহেল হাসতে হাসতে বলল,
> “ওইসব টেনশন করিস না ভাই! এক দোকান থেকে হারবাল ট্যাবলেট নিস, একদম বাজিমাত!”
সাথে সাথে আরেকজন যোগ করল,
> “পুরো দেশ এইগুলা খাচ্ছে! ব্যাপার না, দোকানদার নিজেই বলছে, একদম ‘গোল্ডেন টাচ’!”
রায়হান একটু দ্বিধায় ছিল, কিন্তু দোকানে গিয়ে দোকানদারের কথা শুনে সে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
> “ভাই, এইটা খাইলেই ব্যাটারি ফুল চার্জ! একদম আগের মতো পেয়ে যাবেন!”
রায়হান বিশ্বাস করল।
বিশ্বাস করে ট্যাবলেট কিনল।
বিশ্বাস করে খাওয়া শুরু করল।
…আর তারপর?
তার জীবন আরও বাজে হয়ে গেল!
মাত্র এক সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই সে বুঝতে পারল, শরীর তার কথা শুনছে না। মাথা ঝিমঝিম করে, রাতে ঘুম আসে না, হাত-পা দুর্বল হয়ে গেছে, আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার—তার আত্মবিশ্বাস একদম শূন্য!
নীলা কিছুটা বুঝতে পারছিল।
কিন্তু সেদিন যখন সে গভীর রাতে জেগে উঠে দেখে, রায়হান একা বসে আছে, মাথা নিচু করে, চোখে দুশ্চিন্তার ছাপ…
…তখন সে আর চুপ থাকতে পারল না।
নীলা উঠে এসে সরাসরি বলে ফেলল,
> “রায়হান, তুমি যদি আমার সাথে খোলাখুলি কথা না বলো, তাহলে আমি কীভাবে বুঝব? আমি তোমাকে হারাতে চাই না!”
রায়হানের মনে হলো, বুকের ভেতর পাথরের ভার কমে গেল।
কিন্তু সমস্যা তো এখনো রয়ে গেছে…
—
চতুর্থ পর্ব: সত্যিকারের সমাধান খোঁজা
—
রায়হান এবার ঠিক করল—অন্ধকারে হাতড়ানো বন্ধ।
সে রিসার্চ শুরু করল। ডাক্তারি ওয়েবসাইট, মেডিকেল জার্নাল, ইউটিউবের রিয়েল ডাক্তারের ভিডিও—সব ঘেঁটে সে বুঝতে পারল, এই সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান আছে!
“এবার আর ভুল করব না!”
অনেক খোঁজার পর সে এমন কিছু ফুড সাপ্লিমেন্ট খুঁজে পেল, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
সে নিয়ম করে সেগুলো নিতে শুরু করল।
প্রথম সপ্তাহে… কিছু হয়নি।
দ্বিতীয় সপ্তাহে… হালকা পরিবর্তন।
তৃতীয় সপ্তাহে… শরীরের শক্তি ফিরে আসতে লাগল, মন ভালো হয়ে গেল।
…এবং এক মাসের মধ্যে সে যেন পুরনো রায়হানে ফিরে এল!
নীলা খেয়াল করল পরিবর্তন।
সে বুঝতে পারল, রায়হান এখন আগের মতোই হয়েছে!
এক রাতে রায়হান নীলার হাত ধরে বলল,
> “নীলা, আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। তুমি যদি আমাকে সাহস না দিতে, আমি হয়তো কখনোই নিজেকে ফিরে পেতাম না!”
নীলা মুচকি হেসে বলল,
> “আমি তো তোমাকেই ভালোবাসি, তোমার সমস্যা নয়!”
—
গল্পের শিক্ষা:
গোপন সমস্যাগুলো লুকিয়ে রাখলে তা আরও খারাপ হয়।
ফুটপাতের ভুয়া ওষুধ নয়, বিজ্ঞানসম্মত সমাধানই আসল পথ।
সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলা সবচেয়ে জরুরি, কারণ সমস্যা লুকিয়ে রাখলে সম্পর্কই মরে যায়।
সঠিক পদক্ষেপ নিলে দাম্পত্য জীবন আগের মতোই সুন্দর হতে পারে!
এই গল্পটা শুধু রায়হানের না। এটা সেইসব মানুষদের গল্প, যারা লুকিয়ে থাকেন, যারা সমস্যার সমাধান খোঁজেন কিন্তু কোথায় পাবেন জানেন না।
কিন্তু সত্যিটা একটাই—
> যদি সমস্যা থাকে, সমাধানও আছে! শুধু ভুল পথ বেছে নিও না!
সঠিক সমাধান খুঁজছেন? এখনই ভিজিট করুন:
www.energybooster.aseelfoodbd.com
নতুন জীবনের পথে প্রথম পদক্ষেপ এখনই নিন!